মণিরামপুরের সুজাতপুর গ্রামের একই রশিতে মা-মেয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় আটক কনার মন্ডলকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছে। আসামি কনার মন্ডল সুজাতপুর গ্রামের ননি গোপাল মন্ডলের ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চার বছর আগে আসামি কনার মন্ডল অভয়নগরের দত্তগাতি গ্রামের ভগীরথ মন্ডলের মেয়ে শিপ্রা মন্ডলকে বিয়ের করেন। এরপর সংসারে আসে মেয়ে আদ্রিতা মন্ডল কথা। আসামি কনার মন্ডল নারী আসক্ত হওয়ায় তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। যে কারণে কনার মন্ডল প্রায়ই তার স্ত্রী শিপ্রা রাণীকে আত্মহত্যা করতে অথবা তার বাবার বাড়ি চলে যেতে বলতেন। গত ৭ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বামীর পরকিয়ার বিষয় নিয়ে তাদের দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায় রান্না ঘরে থাকা দড়ি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা করেন কনার মন্ডল। একইদিন বিকেল ৫টার দিকে কনার মন্ডলের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে অন্য এক নারীকে দিয়ে শিপ্রা রাণীর ভাই চন্দন কুমার মন্ডলের কাছে ফোন করে জানানো হয় তোমার বোন খুবই অসুস্থ। চন্দন কুমার মন্ডল পরিবারের লোকজন নিয়ে এসে দেখেন এসে দেখেন তার বোন শিপ্রা রাণী মন্ডল এবং তিন বছর বয়সের মেয়ে আদ্রিতা মন্ডল কথা মৃত অবস্থায় ভাড়া করা বাসায় পড়ে আছে। এরপর স্থানীয়দের কাছে সংবাদ পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এই ঘটনায় চন্দন কুমার মন্ডল বাদী হয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে কনার মন্ডলকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।

৮ আগস্ট পুলিশ আটক কনার মন্ডলকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতিকুজ্জামান। ১৬ আগস্ট সোমবার শুনানি শেষে বিচারক আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।